শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৫:৪৯ পিএম, ২০২০-১১-২৮
কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানের এক সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে ছয়শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে কেওয়াই স্টিল মিলস লিমিটেড।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কেওয়াই স্টিলের আইনজীবী আহসানুল হক হেনা বলেন, মনির হোসেন খানকে ২০০৭ সালে কেওয়াই স্টিলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে মাসিক দুই লাখ টাকা বেতনে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি কেওয়াই স্টিলের সকল ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। যথা- একাউন্টস, বিদেশ থেকে কাঁচামাল ও রাসায়নিক আমদানি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে ছিলেন। সকল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে দুর্নীতি আশ্রয় নিয়ে কোম্পানির প্রায় ছয়শ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন।”
এর আগে ২৫ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির’ অভিযোগ আনেন কারাগারে থাকা মুনির হোসেন খানের বাবা চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন খান।
মোয়াজ্জেম হোসেন খানের দাবি, কেডিএস গ্রুপ হয়রানিমূলক ভাবে তার ছেলের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী মুনিরের মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন তিনি।
কেওয়াই স্টিল মিলস লিমিটেড শিল্পগোষ্ঠী কেডিএসে গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে কেওয়াই স্টিলের আইনজীবী আহসানুল হক হেনা বলেন, “তার (মুনির) যোগদানের সময় কোম্পানির দায় ছিল তিনশ কোটি টাকা। চলে যাওয়ার সময় ছিল হাজার কোটি টাকার বেশি। তাকে ২০১৮ সালে বরখাস্ত করা হয়।
“তিনি সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেন, যা আমরা ব্যাংকে যোগাযোগ করে পেয়েছি। তাই মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়। তার বিরুদ্ধে কোম্পানি ২৬টি মামলা করে। এইচআর কয়েল আমদানিতে কমিশন ও দুর্নীতি, সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ এবং নিজস্ব ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে দিয়ে পে করিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন পত্রিকায় দেখেছি তার (মুনির) পিতা অভিযোগ করেছেন, তার ছেলেকে জেলখানায় মিটিংয়ের নামে ডেকে নিয়ে ইয়াছিন রহমান টিটু বেদম মারধর করেছে, যা সর্বোপরি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”
কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে ইয়াছিন রহমান টিটু ১৯৯৯ সালে একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানির কর্মকর্তা ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারা-প্রাপ্ত হয়ে ২০১১ সাল থেকে কারাগারে আছেন।
মুনিরের বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন খানের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কেওয়াই স্টিলের ১০ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এক সভায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে মুনির হোসেন খানকে মারধর করেন ইয়াছিন রহমান টিটু।
এর জেরে কেওয়াই স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যানের আরেক ছেলে সেলিম রহমানের নির্দেশেই ২০১৮ সালের ২০ জুন মুনির হোসেন খান পদত্যাগ করেন বলে তার বাবার দাবি।
স্কুল বন্ধু সেলিম রহমানের অনুরোধেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেশে ফিরে মুনির কেওয়াই স্টিলে যোগ দেন বলে দাবি তার পরিবারের।
কেওয়াই স্টিলের আইনজীবী আহসানুল হক হেনা বলেন, “আমরা তাকে ডেকে আনিনি। তিনি কেন এসেছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন। অবৈধভাবে কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।
“নিজের নামে ফ্ল্যাট, মেয়র নামে ইসাবেলা টাওয়ার, এলায়েন্স স্টিল এবং মেরিনার্স ট্রান্সপোর্ট লি. নামে দুটি কোম্পানি গড়ে তোলেন। এখানে চাকরিরত অবস্থায় আমেরিকায় বাড়ি করেছেন।”
কেওয়াই স্টিলের সিইও জাবির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে পাওয়ারপয়েন্টে বেশকিছু নথিপত্র উপস্থাপন করে বলেন, “মুনির হোসেন খান আমেরিকায় আইএনজে ভেঞ্চারের নামে অ্যাপার্টমেন্ট, মিয়ামিতে ভিলা এবং জমি কিনেছেন। এমনকি কনডোমিনিয়িাম বা হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এমন চিঠিও আমাদের কাছে আছে।
“সেখানে ফ্ল্যাট-জমি কেনার নথিপত্রে তিনি বলেছেন আমেরিকায় তার আয়ের কোনো উৎস নেই। মেরিনার্স ট্রান্সপোর্ট লি. নামে যে প্রতিষ্ঠান তার বাবা-ভাই মিলে করেছেন সেটাকে কেওয়াই স্টিলের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দাবি করে এর মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দিয়েছেন।”
জাবির হোসেন খান বলেন, “তার অসদুপায়ে অর্জিত কালো টাকা ও মানি লন্ডারিং বিষয়ে আমরা মার্কিন দূতাবাসকে জানাব।”
একজনের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী আহসানুল হক হেনা বলেন, “প্রতিটি মামলায় কজ অব অ্যাকশন আছে। বরখাস্তের সময় অঙ্গীকার করেছিলেন যখন ডাকবে তখন এসে হিসেব বুঝিয়ে দেবন, ডাকা স্বত্তেও আসেননি। প্রত্যেক বছরের জন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
“পুলিশ দুটিতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। পিবিআই, সিআইডি তদন্ত করছে। কোয়াশমেন্ট ও রিটে ১৭টি মামলা নিয়ে হাই কোর্টে যান। যা হাই কোর্ট বাতিল করে দেন। বিচারাধীন মামলাকে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না।”
সংবাদ সম্মেলনে কেওয়াই স্টিলের সিএফও রাকিবুন কামাল, হেড অব মার্কেটিং সাজ্জাদ আল মামুন এবং আইনজীবী সামানজার খান উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited